a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmarks
  • No bookmark found
Image Alt
 • ত্বকের যত্ন  • হাইড্রেটর? ময়েশ্চারাইজার? আপনার জন্য কোনটি?

হাইড্রেটর? ময়েশ্চারাইজার? আপনার জন্য কোনটি?

Bookmark CFL(0)

সাধারণ হাইড্রেটর আপনার কোষে পানিপূর্ণ করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ও পুষ্টি নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়।

  • ময়েশ্চারাইজার শরীরে আর্দ্রতার পরিমাণ ধরে রাখে, পানিশুন্যতা রোধ করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
  • নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালু ভেরা মেশান এবং ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করুন। রাতের ক্রিম হিসেবেও এটা বেশ কার্যকরী।
  • আলু ভেরা ত্বকের গোটা জাতীয় সমস্যার ভালো সমাধান দেয় অন্যদিকে নারকেল তেল ত্বককে ধূলামুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

আপনার ত্বককে সুস্থ, মসৃণ ও চকচকে রাখার জন্য পানি বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। সেজন্য আপনি ত্বকের যত্ন নেয় এমন যে পণ্যই দেখবেন, বেশিরভাগই আপনার ত্বকের পানি ও আর্দ্রতা ধরে রাখার কথা বলবে। যদিও আমরা সবাই অনেক সময় পানি এবং আর্দ্রতার মধ্যে গুলিয়ে ফেলি। এই দুইটিই যদিও ত্বকের জন্য পুষ্টিকর, দুইটার মধ্যে পার্থক্য জানলে আপনি ত্বকের জন্য কোনটা বেশি প্রয়োজন সেটা বুঝতে পারবেন।

জলযোজন ও আর্দ্রতাকরণের মধ্যে পার্থক্য

হাইড্রেটর (জলযোজক) ও ময়েশ্চারাইজার (আর্দ্রতাকারক) দুইটিই নিশ্চিত করে পানিশুন্যতা ঠেকানোর জন্য ত্বক যেন যথেষ্ট পরিমাণ পানির সরবরাহ পায়। কিন্তু পার্থক্যটা হচ্ছে তারা কীভাবে কাজ করে সেখানে।

জলযোজক( হাইড্রেটর )

হাইড্রেশন বা জলযোজন এমন একটা ব্যাপার যেটা কোষকে স্ফীত ও মোটা করে তোলে এবং সেখান থেকে আলোর প্রতিফলনও ভালোমতো আসে। যদি কোষ থেকে পানি বের হয়ে যায় তাহলে সেগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে, যেটার ফলে ত্বক ঢিলে হয়ে যায়। সাধারণ হাইড্রেটর কোষের মধ্যে পানির প্রবেশ করিয়ে আরও বেশি আর্দতা ও পুষ্টি নেওয়ার জন্য কোষকে তৈরি করে।

আর্দ্রতাকারক (ময়েশ্চারাইজার)

এটার মূল কাজ হচ্ছে ত্বকের বাইরের অংশে আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে সুরক্ষা দেওয়া, পানি কমে যাওয়া ঠেকানো এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখা।

কীভাবে বুঝবেন কোনটি আপনার জন্য ঠিক

আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়, এটা সহজেই ধরে নেওয়া যায় যে এ ময়েশ্চারাইজারের ভালো একটা ডোজ হলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরত আসবে। আবার এমনও হতে পারে, আপনার ত্বক শুষ্ক না হলেও সেখানে পানিশুন্যতা থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে আপনার দরকার হাইড্রেটর।

আপনার ত্বক শুষ্ক বা পানিশুন্য কি না জানার জন্য আগে আপনার ত্বকের অবস্থাটা বুঝতে হবে। ত্বকের একটি প্রাকৃতিক লিপিড বাধা থাকে যেটা ত্বকের ক্ষতি রোধ করবে ও পানিহ্রাসের হার কমাবে। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক এবং ভঙ্গুর ধরনের হয় তাহলে লক্ষণটা এরকম সেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ লিপিড কোষ তৈরি হচ্ছে না। সেজন্য বাইরের সুরক্ষা আবরণও তৈরি হচ্ছে না, যার ফলে আর্দ্রতা কমে যাবে। এক্ষেত্রে আপনার দরকার ময়েশ্চারাইজার।

  • ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বকের বাইরের অংশ থেকে যে পানিটা বাষ্প হয়ে উড়ে যায় সেটার পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। ময়েশ্চারাইজার সেই আর্দ্রতা ধরে রাখে। ময়েশ্চারাইজার শুষ্ক ও ভঙ্গুর ত্বকের জন্য বেশি উপযোগী।
  • যদি ত্বক রুক্ষ হয় এবং দাগ পড়ে যায় এবং কুঁচকানোর মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে সেটা পানিশুন্যতার ফল। পানিশুন্য ত্বক মানে আপনার কোষগুলোর ঝুরঝুরে হয়ে পানির অভাবে ভুগছে। তখন সেগুলোর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
  • কারও কারও পানিপূর্ণ কিন্তু আসলে শুষ্ক ত্বক থাকতে পারে। আবার কারও কারও হতে পারে উল্টোটা। পানিপূর্ণ, ফোলা থাকলে সেরকম কোষই আসলে আমরা খুঁজছি।

ঠিক হাইড্রেটর বা ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন

প্রচুর পানি খাওয়া অবশ্যই আপনার ত্বকের পানিপূর্ণ করার সবচেয়ে সহজ উপায়, কিন্তু পানিশুন্য ত্বকের এমন একটা ক্রান্তীয় জলযোজক দরকার যেটা আপনার কোষে পানির সরবরাহ ধরে রাখে।

  • সাধারণ যেসব ত্বকের লোশন আছে সেগুলো দিয়ে ত্বককে পানিপূর্ণ করতে সময় লেগে যাত। সেজন্য এমন কিছু খুঁজতে হবে যেখানে হাইঅ্যালুরনিক এসিড, অ্যালু, মধু, আলফা হাউড্রক্সি এসিড ও সামুদ্রিক উপাদান আছে।
  • সিনথেটিক লোশন , ইউরিয়া এবং প্রোপিলিন গ্লাইকল এমন কিছু উপাদান যেগুলোতে আপনি চোখ রাখতে পারেন।

পানিযোজক উপাদানগুলো সাধারণত সব ধরনের জন্য উপযোগী। তারা পানিতে দ্রবণীয়, রোমকূপগুলো বন্ধ রাখে না এবং অ্যালকোহলবিহীন যাতে করে তারা ত্বকের বাইরের আবরণটা পুরোপুরি শুষ্ক করে না ফেলে।

ময়েশ্চারাইজারের ক্ষেত্রে ফর্মুলা ও উপাদানের ওপর নির্ভর করে অনেক বৈচিত্র্য আছে।

ময়েশ্চারাইজার হালকা বা ভারি হতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য বিভিন্ন ঋতুর ওপর নির্ভর করতে পারে।

গ্রীষ্ম, বসন্তের দিনে হালকা ধাঁচের কোনো জেল বা হালকা লোশন অন্যদিকে শুষ্ক বা শীতের সসময় সিরামাইডস, নারকেল তেল, কোকোয়া বাটার জাতীয় ভারি কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই উপাদানগুলো শুধু আর্দ্রতা বা পুষ্টী যোগ করার জন্য নয়, একই সঙ্গে বয়সের ছাপ ঠেকানো ও ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতেও অবদান রাখে।

আপনি বাসায়ও নিজেই ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে পারেন

  • এক থেকে দুই কাপ নারকেল তেল নিন এবং তাতে দুই টেবিলচামন অ্যালু ভেরা তেল ঢালুন।
  • এগুলো একটা বালতিতে নিয়ে ঘুঁটতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত একটা ক্রিম-ক্রিম ভাব থাকে। এরপর একটা জারে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।
  • ভঙ্গুর ত্বকের জন্য এটা বেশি ভালো কাজ করে, অনেকটা রাতের ক্রিমের মতোই। অ্যালু ভেরার কারণে এটা দাগ কমাতে সাহায্য করে আর নারকেল তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণের কারণে ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা শুষে নেয় ও জমাট বাঁধতে দেয় না।

Source:
https://www.dermstore.com/blog/hydrating-vs-moisturizing/

https://www.healthline.com/health/beauty-skin-care/hydration-moisture#intro

POST A COMMENT