a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmarks
  • No bookmark found
Image Alt
 • কোকো সায়েন্স  • নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল ব্যবহারে প্রাণবন্ত চুল

নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল ব্যবহারে প্রাণবন্ত চুল

Bookmark CFL(0)
  • নারিকেল তেল এবং জলপাই তেল উভয়ই হাইড্রেটিং এজেন্টস এ পরিপূর্ণ। তাই, তেল দুটি আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে বেশ উপকারি
  • চুল পড়া কমাতে এই তেলগুলোর সাথে ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিতে পারেন
  • আপনি যদি চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করতে চান, তবে নারিকেল তেল, জলপাই তেল, মেয়োনিজ এবং ভিনেগার মিশিয়ে একটি প্যাক প্রস্তুত করুন

 

আপনি যদি চুলের যত্নের ব্যাপারে সচেতন কেউ হয়ে থাকেন, তবে আপনি অবশ্যই চুলের জন্য নারিকেল এবং জলপাই তেলের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত। তেল দুটি কয়েক শতাব্দী ধরে চুলের যত্নের অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই তেলগুলো দিয়ে যখন আপনি ভালভাবে আপনার মাথা ম্যাসাজ করবেন, তখন তা আপনার চুলের সৌন্দর্য বর্ধন ছাড়াও আপনার স্ট্রেস হ্রাস করতেও সহায়ক। এবং আমরা সকলেই জানি যে যদি আমরা চাপমুক্ত থাকি তাহলে আমাদের ত্বক এবং চুলও বেশ স্বাস্থ্যকর থাকে।

চুলের জন্য অলিভ অয়েল এবং নারিকেল তেল ব্যবহারের অসংখ্য পদ্ধতি রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেই চুলের জন্য নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহারের সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলো।

 

চুলের জন্য কীভাবে নারিকেল তেল এবং জলপাই তেল ব্যবহার করবেন

 

১. নারিকেল তেল হাইড্রেটিং এজেন্টসে সমৃদ্ধ যা আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে, জলপাই তেল ভিটামিন এ এবং ই তে ভরপুর। তাই এগুলো আপনার চুল মসৃণ করতে সহায়তা করে। তেল দুটি একসাথে ব্যবহার করলে তা আরও দক্ষতার সাথে কাজ করে।

 

পদ্ধতি:

  • আধা কাপ জলপাই তেল এবং এক কাপ কুমকুমারি নারিকেল তেল নিন
  • তেল দুটি একসাথে মেশান
  • আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে মিশ্রণটি পুরোপুরি ম্যাসাজ করুন
  • ৩০ মিনিটের জন্য মিশ্রণটি চুলে রাখুন যাতে আপনার চুলগুলো এর ময়েশ্চারাইজিং গুণাবলী পুরোপুরিভাবে শুষে নিতে যথেষ্ট সময় পায়

 

২. চুলের বৃদ্ধির জন্য কিভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন জানেন? আপনার চুলকে নরম করতে এর সাথে অন্যান্য উপাদানও মিশ্রিত করতে পারেন। আপনি যখন জলপাই তেলের সাথে মেয়োনিজ এবং ভিনেগার মিশ্রণ করবেন তখন এগুলো আপনার চুলে একটি প্রাকৃতিক ঝলক যোগ করবে। এই মিশ্রণটির ব্যবহার ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করার জন্য এবং চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কার্যকর উপায়।

 

পদ্ধতি:

  • দুই টেবিল চামচ মেয়োনিজ নিন
  • এতে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল এবং ভিনেগার যুক্ত করুন
  • মিশ্রণটি প্রয়োগ করার আগে আপনার চুল ধুয়ে নিন এবং চুলগুলো স্বাভাবিকভাবে শুকাতে সময় দিন
  • এখন, মিশ্রণটি আপনার মাথার পরিষ্কার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে প্রয়োগ করুন
  • এটি ৩০ মিনিটের জন্য রাখুন এবং তারপরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
  • এরপর আপনার চুলে কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না
  • এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে একবার বা দু’বার অনুসরণ করুন, এর চেয়ে বেশি নয়

 

৩. মাথার শুষ্ক ত্বক এবং শুষ্ক চুল থেকে মুক্তি পেতে আপনি জলপাই তেল এবং নারিকেল তেলের সাথে অ্যাভোকাডো মেশাতে পারেন। অ্যাভোকাডোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, বি এবং ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। আপনি যখন তেলগুলোর সাথে এটি অন্তর্ভুক্ত করেন, তখন মাস্কটি আপনার চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

 

পদ্ধতি:

  • একটি অ্যাভোকাডোর খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে ম্যাশ করুন
  • এতে এক চামচ নারিকেল তেল এবং এক চামচ জলপাই তেল যুক্ত করুন
  • উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন
  • আপনার চুলগুলো ছোট ছোট সেকশনে ভাগ করুন এবং মাস্কটি ভালোভাবে প্রয়োগ করুন
  • একটি চুলও যেন বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন
  • একটি শাওয়ার মাস্ক পরুন এবং ৪৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন
  • তারপরে কুসুম গরম পানি এবং একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন

 

৪. চুলের জন্য জলপাই তেলের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চুল নির্জাসের জন্য সবচেয়ে চমৎকার উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল এই তেলের সাথে ডিমের কুসুম মেশানো। ডিম চুলের বিভিন্ন প্রোটিন ট্রিটমেন্টে  পেশাদার বিউটিশিয়ানদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। হাইড্রেশনের জন্য আপনি মিশ্রণটিতে নারিকেল তেল যোগ করতে পারেন। প্যাকটি চুল পড়ার বিরুদ্ধে কার্যকর।

 

পদ্ধতি:

  • যদি আপনার চুলের ধরণ শুষ্ক হয় তবে আপনার একটি ডিমের কুসুম ডিমের দরকার হবে। তবে আপনার চুল যদি তৈলাক্ত হয় তবে আপনার জন্য দুটি ডিমের সাদা অংশের দরকার এবং মিশ্র চুলের অধিকারীদের জন্য প্রয়োজন একটি সম্পূর্ণ ডিম
  • এতে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল যুক্ত করুন
  • যতক্ষণ না উপাদানগুলো ভালভাবে মিশে যায় ততক্ষণ ভালভাবে নাড়তে থাকুন
  • মিশ্রণটি প্রয়োগ করার আগে আপনাকে অবশ্যই চুলে শ্যাম্পু করতে হবে
  • এখন আপনার ভেজা চুলে মিশ্রণটি ভালভাবে লাগিয়ে নিন
  • ধুয়ে ফেলার আগে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন
  • দ্রুত ফল লক্ষ্য করার জন্য, মাস্কটি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করা উচিত

 

  1. রুক্ষ চুল থেকে মুক্তি পেতে চান? নারিকেল তেলের সাথে কলা মেশান। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুল পড়া কমায়। এতে চর্বিযুক্ত তেলও বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান এবং তাই তা চুলের আর্দ্রতা হ্রাস পেতে দেয়না।

 

পদ্ধতি:

  • একটি পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করুন
  • এটি ভালভাবে ম্যাশ করে তাতে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল দিন
  • ভালভাবে উপাদানগুলো মিশিয়ে নিন
  • ভেজা চুলে এবং মাথার ত্বকে মাস্কটি লাগিয়ে নিন 
  • ৩০ মিনিট পর এটি ধুয়ে ফেলুন
  • এরপর একটি ভাল কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না

 

সুতরাং, জলপাই তেল এবং নারিকেল তেল দিয়ে আপনি সহজেই আপনার চুলের যত্ন নিতে পারেন। এই দুটি তেল সকল চুলের ধরণের জন্য ভাল। কিন্তু এদের মিশ্রণ তৈরির সময় অনুপাত সম্পর্কে আপনার যত্নবান হতে হবে। উপরে বর্ণিত চুলের যত্নের উপায়গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করুন এবং আপনার চুল হয়ে উঠবে মহনীয়। 

 

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

১. আপনি কি জলপাই তেল এবং নারিকেল তেল একসাথে মিশ্রিত করতে পারেন?

হ্যা, আপনি পারেন। প্রকৃতপক্ষে, একসাথে আপনার চুল ময়েশ্চারাইজ এবং মজবুত করার জন্য এই দুটি তেলের মিশ্রণ একটি দুর্দান্ত সমন্বয়। 

 

২. চুল বৃদ্ধির জন্য কোনটি ভাল – জলপাই তেল বা নারকেল তেল?

এই দুটি তেলই আপনার চুলের জন্য ভালো। তবে চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, জলপাই তেলের চেয়ে নারিকেল তেল ভাল।

 

৩. কতক্ষণ আমার চুলে জলপাই তেল রাখা উচিত?

আপনার চুলে ৩০-৬০ মিনিটের জন্য জলপাই তেল রাখা উচিত।

 

৪. আমি কি সারারাত আমার চুলে জলপাই তেল দিয়ে রাখতে পারি?

জি, অবশ্যই আপনার চুলে সারারাত জলপাই তেল রাখতে পারেন। 

 

তথ্যসুত্রঃ 

POST A COMMENT