নারিকেল এবং জবাফুল ব্যবহার করে পান মজবুত ও কোমল চুল
- নারিকেল চুলের যত্নের অন্যতম উপাদান।
- নিয়মিত নারিকেল ব্যবহারে চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ হয়।
- অনেক সময় ধুলাবালির কারণে আমাদের চুলের প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল ভেঙে পড়তে থাকে।
- জবাফুল ও নারিকেল একসাথে ব্যবহারে আপনার চুলে আলাদাভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।
- নারিকেল ও জবাফুলের ব্যবহার চুলকে মজবুত ও কোমল করে তোলে।
চুলের যত্নে আমরা সব সময়ই প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজি। নারিকেলচুলের যত্নের অন্যতম উপাদান। সেই উপাদানের সাথেই যদি অন্য আরেকটি ভেষজ উপাদান মিলিয়ে চুলে ব্যবহার করা হয় তবে চুলের পুষ্টির মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
শুষ্ক চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য নারিকেলবহুল প্রচলিত একটি প্রাকৃতিক উপাদান। নিয়মিত নারিকেল ব্যবহারে চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ হয়। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে চুলকে কোমল করে তোলে। অনেক সময় ধুলাবালির কারণে আমাদের চুলের প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল ভেঙে পড়তে থাকে। নারিকেল তেলে রয়েছে লরিক এসিড ও ক্যাপ্রিক এসিড নামের দুটি উপাদান যা চুলের প্রোটিনের ভারসাম্য রক্ষা করে চুল ভেঙে পড়া রোধ করে। নারিকেল তেলের এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য চুলে এবং মাথার ত্বকে যে কোনো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস ইনফেকশনও সহজে হয় না।
ভেষজ উপাদানের মধ্যে জবা ফুল চুলের যত্নে বহুল ব্যবহৃত। চুল পড়ে যাওয়া বা টাক রোগের সমাধান হিসেবে অনেকেই জবা ফুল চুলে ব্যবহার করে থাকেন। জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলের কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এর এমিনো এসিড চুলের কেরাটিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ফলে চুল গোড়া থেকে শক্ত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়। জবা ফুলের পেস্ট সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে চুল ঝলমলে ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বহুগুণে।
বাজারের কেমিকেল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়ে যায়। জবা ফুল ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা বজায় থাকে। তবে জবাফুল ব্যবহারে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায় যখন এটাকে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
জবাফুল ও নারিকেলএকসাথে ব্যবহারে আপনার চুলে আলাদাভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। মাথার ত্বক খুশকি ও চুলকানি থেকে মুক্ত রাখে। শুষ্ক চুলের পিএইচ ব্যালেন্স জবাফুল ও নারিকেলব্যবহারে স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখে। জবাফুলের ভিটামিন সি ও এমিনো এসিড মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এ ছাড়া নারিকেলও জবাফুল দুটোই এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলের প্রয়োজনীয় মেলানিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে ও চুল সহজে পেকে যায় না।
নারিকেল চুলের পুষ্টি যোগাতে ও জবাফুল চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সুতরাং, এই দুটি উপাদান একসাথে চুলকে মজবুত ও কোমল করে তোলে।
জবাফুলের পাপড়ি ও পাতা দুটোই চুলের জন্য উপকারী। হামানদিস্তায় ভালো করে থেতো করে পেস্ট বানিয়ে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে গরম করে তারপর একদম ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন। জবাফুল ও নারিকেলমিশিয়ে তেল বানিয়ে সেটি আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত খুব ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। এই মিশ্রণটি কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাথায় রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আপনি চাইলে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
POST A COMMENT
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।