মজবুত ও মসৃণ চুলের জন্য নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল
-
- নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি চুলের পুষ্টি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
- নারিকেল তেলে রয়েছে সম্পৃক্ত চর্বি যা চুলের দুই থেকে তিন গুণ গভীরে পৌঁছে চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে।
- ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য অলিভ অয়েলের বেশ নাম রয়েছে।
- অলিভ অয়েল ও নারিকেল তেল নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে চুলের ময়েশ্চার বৃদ্ধি পায় তাই চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ভেঙে পড়ে না।
- নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল দুটোই এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান।
সৌন্দর্য সচেতন প্রতিটি মানুষই চায় মজবুত, মসৃণ ও কোমল চুলের অধিকারী হতে। সে ক্ষেত্রে “চুল পড়ে যাচ্ছে কেন?”- এটা একদম সাধারণ একটি প্রশ্ন। চুল পড়ে যাওয়ার মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হল:
- চুলের আগা ফেটে যাওয়া
- চুলে প্রোটিনের পরিমাণ কমে যাওয়া
- চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়া
- চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- চুলে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়া
- বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল ব্যবহার করা
চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি আমরা চাই মজবুত, কোমল ও মসৃণ চুলের অধিকারী হতে। সব সমস্যা সমাধান করে সুন্দর চুল পেতে আমাদের অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হয়। চুলের যত্ন নিতে নারিকেল তেল বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য তা আমরা সকলেই জানি। নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হবার পাশাপাশি চুলের পুষ্টি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরে আসে।
নারিকেল তেল ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী তাই মাথার ত্বকে কোনোরকম ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের ইনফেকশন হয় না। এছাড়া নারিকেল তেল মাথার খুশকি, এলার্জি ও উকুন জাতীয় সমস্যা সহজেই দূর করতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেল ব্যবহারে মাথার ত্বকে কোনোরকম প্রদাহ হয়না তাই চুল পড়া রোধে এটি খুবই কার্যকর। নারিকেল তেলে রয়েছে লরিক এসিড ও ক্যাপরিক এসিড নামের দুটি উপাদান যা চুলে প্রোটিনের পরিমাণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই চুলে ক্ষতিকর কোনো কেমিকেল ব্যবহার করলে বা রোদে ড্যামেজ হয়ে গেলে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহারে চুল পুরোনো স্বাস্থ্য ফিরে পায়। এছাড়া লরিক এসিড চুলের আগা ফেঁটে যাওয়া রোধ করে। নারিকেল তেলে রয়েছে সম্পৃক্ত চর্বি যা চুলের দুই থেকে তিন গুণ গভীরে পৌঁছে চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে।
উজ্জ্বল ও সুন্দর চুলের জন্য নারিকেল তেলের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করলে কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ড্যামেজড চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য অলিভ অয়েলের বেশ নাম রয়েছে। অলিভ অয়েলে রয়েছে ক্যালোরি, ফ্যাট, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে। ভিটামিন ই এর পরিমাণ বেশি থাকায় এটি সহজেই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ফলে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। অলিভ অয়েলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাটি এসিড যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে মসৃণ ও নরম রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল ও নারিকেল তেল নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে চুলের ময়েশ্চার বৃদ্ধি পায় তাই চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ভেঙে পড়ে না। চুলের ভাঙন রোধের পাশাপাশি আগা ফেটে যাওয়া এবং খুশকি জাতীয় সমস্যাও দূর হয়।
নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ও চুলে ভালোভাবে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল দুটোই এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান। তাই ঘন ও মজবুত চুলের জন্য এই দুটি উপাদান একসাথে ব্যবহার করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
সবচেয়ে কার্যকর ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে তিন দিন নারিকেল তেলের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ৪ চামচ নারিকেল তেলের সাথে ২চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে একটি ছোটো পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। চামচের সাথে ভালোভাবে তেল দুটি মিশাতে থাকলে খুব সুন্দর একটি ঘন মিশ্রণ তৈরী হবে। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে চুলের গোড়া থেকে চুলের আগা পর্যন্ত আঙুলের সাহায্যে ভালোভাবে মালিশ করে নিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য রাতে তেলটি মালিশ করে পরদিন সকালে খুব হাল্কা একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। অলিভ অয়েল এবং নারিকেল তেল প্রাকৃতিকভাবেই চুলে কন্ডিশনিং এর কাজ করে তাই আলাদা ভাবে কোনো কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে, চুলের ভাঙন রোধ করতে এবং সর্বোপরি চুলের মসৃণতা বজায় রাখতে আমরা চুলের যত্ন সবসময় করতে চাই। আর তাই মসৃণ, লম্বা, কালো চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণটি দারুন কার্যকর।
POST A COMMENT
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।