লম্বা, কালো ও ঝলমলে চুল পেতে স্কাল্প ট্রিটমেন্ট
- মাথার ত্বকের যত্ন না নিলে আপনার চুলের ক্ষতি হতে পারে ও আগেভাগে চুল পড়ে যেতে পা্রে।
- নারিকেল তেলের সঙ্গে ‘টি ট্রি তেল ও রোসমেরি তেল সংবেদনশীল ত্বক ঠিক রাখে এবং চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
- শুকনো বা ভেজা, মাথা ত্বকের জন্য এই দুই রকম চিকিৎসা নিতে পারেন।
- চুলের বিভিন্ন জায়গায় এই ফর্মুলাটা প্রয়োগ করুন ও ২০ মিনিট সমন নিন।
- এরপর একটা কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সর্বশেষ কবে আপনার মাথার চুলে ফেসিয়াল করেছিলেন? না, প্রশ্নটা ভুল করা হয়নি। কারণ মুখের মতো মাথায়ও ত্বক আছে এবং সেটারও যথেষ্ট পরিমাণে যত্ন নিতে হয়।
চুল বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মাথার চুলের ঠিকমতো যত্ন নিলে ত্বকের সুস্বাস্থ্য ও ঊজ্জ্বল ভাব নিশ্চিত হয়। কারণ শরীরের অন্যান্য জায়গার মতো মাথার চুলেরও বাঁচতে হয়। দরকার হয় অক্সিজেন, আর্দ্রতা এবং পুষ্টি। আপনার মাথার ত্বকের ঠিকমতো যত্ন না নিলে চুলের ক্ষতি হতে পারে ও অল্পবয়সেই চুল পড়ে যেতে পারে।
সৌভাগ্যবশত, আপনি নারিকেল তেল, টি ট্রি তেল ও রোসমেরি তেল মিশ্রণ করে এই সমস্যা থেকে নিজেকে প্রতিরোধ করতে পারবেন এবং সুন্দর চুলের অধিকারী হতে পারবেন।
উপকারিতা
- মাথার ত্বকের ভারসাম্য ও পানির পরিমাণ ঠিক রাখে
- ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে
- সংবেদনশীল ত্বক ঠিক রাখে
মাথার ত্বকের ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি বেছে নিন
শুষ্ক পদ্ধতি
শুষ্ক, খুশকিযুক্ত ও দাগওয়ালা ত্বকের জন্য আপনার ৬ টেবিলচামচ কাঁচা ও বিশুদ্ধ নারিকেল তেল দরকার। এরপর তিন থেকে চার ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে সেটির সঙ্গে চার থেকে ছয় ফোঁটা নারিকেল তেল মেশানো যায়।
আর্দ্র পদ্ধতি
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ছয় টেবিলচামচ কাঁচা ও বিশুদ্ধ নারিকেল তেলের সঙ্গে তিন টেবিলচামচ লেবুর রস ও দুই টেবিলচামচ জাম্বুরার রস মেশাতে হবে।
প্রয়োগ
- মিশ্রণটা চুলের ত্বকের সঙ্গে ভালোমতো একটি ব্রাশ অথবা তুলা দিয়ে মেশাতে হবে।
- চুলটা এমনভাবে আঁচড়ে নিতে হবে যেন ১ ইঞ্চির মতো ফাঁক থাকে যাতে মিশ্রণটা ঠিকভাবে মেশে।
- ৫-১০ মিনিট থেকে মাথার ত্বকের ওপর এই মিশ্রণটা চক্রাকারভাবে ঘষতে ও মাখাতে হবে।
- এরপর ২০ মিনিট মিশ্রণটা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- এরপর আপনি আগে ব্যবহার করেছেন এমন কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
রেফারেন্স:
POST A COMMENT
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।