a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmarks
  • No bookmark found
Image Alt
 • ত্বকের যত্ন  • যেকোনো ধরনের ত্বকের যত্নে স্কিন কেয়ারের নিয়ম
skincare routine

যেকোনো ধরনের ত্বকের যত্নে স্কিন কেয়ারের নিয়ম

Bookmark CFL(0)
  • মোট চার ধরনের স্কিন টাইপ রয়েছে। সাধারন ত্বক, মিশ্র ত্বক, শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বক। 
  • নরমাল স্কিনের দেখাশুনা করাও সাধারণ। নারিকেলের দুধ পোরস গুলো থেকে ময়লা পরিষ্কার করে
  • তৈলাক্ত ত্বক আবার প্রতিক্রিয়া দেখায় তাই প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য কেয়ার নেয়া যায়, যেমন – নারিকেল তেল,  নারিকেল দুধ,ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ইত্যাদি। 
  • রুক্ষ ত্বকের জন্য নারিকেল তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পার। এবং অ্যালোভলরা,দুধ, মধু ও ওটমিল স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • কম্বিনেশন স্কিনের বেলায় রুক্ষ ও তৈলাক্ত অংশ আলাদা আলাদা ভাবে যত্ন নিতে হবে। 

 

সকল নারী পুরুষ সমান ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে কিন্তু একই ধরনের ত্বক নিয়ে নয়। আমাদের প্রত্যেকের আছে আলাদা স্কিন এবং সব ধরনের ত্বকের যত্নের জন্য আলাদ স্কিন কেয়ার রুটিন দরকার।

অনুপযুক্ত ত্বকের যত্ন হয়ত আপনাকে সঠিক ফলাফল এনে দেবে না। যদিও বিউটি এক্সপার্ট দের মতে এটি হল ” সেরা স্কিন কেয়ার রুটিন”।

এগুল হল চারটি প্রধান স্কিন টাইপ-

 

নরমাল ত্বকঃ

সাধারণ ত্বক বলতে আমরা বুঝি সঠিক ভারসাম্য যুক্ত ত্বক। বৈজ্ঞানিকভাবে একে বলা হয়ে থাকে  এডুডার্মিক। যাদের নরমাল স্কিন আছে তাদের কপাল, নাক ও চিবুকে এড়িয়া কে T-zone বলা হয়। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরা তৈলাক্ত হয়। কিন্তু  সিবাম উৎপাদন আর ত্বকের ময়েশ্চার ভারসাম্য বজায় রেখে থাকে। ত্বক অনেক বেশি ড্রাই ও হয় না তৈলাক্তও হয় না। তবে বয়সের সাথে সাথে নরমাল ত্বক কিন্তু  রুক্ষ হতে পারে। যাদের নরমাল ত্বক আছে তাদের বলা হয় “God’s favourite children ” কারন তাদের ত্বকে আছে পরিমিত পোরস, কোমল, মসৃন ভাব এবং সঠিক রক্ত সঞ্চালন। এছাড়াও নরমাল ত্বকে তেমন কোনো ত্রুটি থাকে না। এই ধরনের ত্বক সংবেদনশীলতা বহন করতে সক্ষম। 

 

তৈলাক্ত ত্বকঃ

তৈলাক্ত ত্বক যাদের আছে তাদের সেবাম উৎপাদন বেশি হয়। এই অবস্থাকে বলে সেবোরিয়া। অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদনের অনেক গুলো কারন আছে, যেমন – মানসিক চাপ, জেনেটিক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মেডিসিন গ্রহন, প্রদাহ সৃষ্টি কারী প্রসাধনী ইত্যাদি হচ্ছে তৈলাক্ত ত্বকের ভারসাম্যহীনতার মূল কারন। আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিনা জানতে চান? দৃশ্যমান পোরস আর প্যালস, পাতলা ত্বক ও গ্লোসি উজ্জ্বলতা  গুলো লক্ষ করুন। এই ধরনের ত্বকে থাকে অনেক ধরনের ব্রন,  ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস।

 

রুক্ষ ত্বকঃ 

রুক্ষ ত্বক আসলে তৈলাক্ত ত্বকের বিপরীত। ত্বকে যখন পরিমানে কম সেবাম উৎপন্ন হয় তখন ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। রুক্ষ ত্বকে লিপিডের অভাব থাকে যার কারনে ত্বকের ময়েশ্চার নষ্ট হয়। NMF ( Natural moisturizing factors)  যেমন ল্যাকটিক এসিড,  অ্যামিনো এসিড আমাদের দেহে পানি ধরে রাখে। NFM এর অভাব স্কিনকে ড্রাই করে দেয়। মূলত তিন ধরনের ড্রাই স্কিন রয়েছে,  সাধারণের থেকে একটু ড্রাই,  বেশি ড্রাই, অতিরিক্ত ড্রাই।

অল্প রুক্ষ ত্বক দেখতে মলিন, টান ও ফ্যাকাশে লাগে।

বেশি রুক্ষ ত্বকে টান অনুভব হয়, অল্প শুষ্কতা এবং কখনও প্রদাহ অনুভূত হয়। এই ধরনের ত্বকে প্রদাহ এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনা আছে।

 

অতিরিক্ত রুক্ষ ত্বক পাওয়া যায় পানিশূন্য ও পুরনো বডি পার্টস গুলোতে। এটি শুষ্কতা ও রুক্ষতা তৈরী করে এবং হাটু, গোড়ালি, পায়ের মত যায়গায় চুলকানি বা প্রদাহ সৃষ্ট করে।

 

কম্বিনেশন ত্বকঃ

নাম থেকেই বুঝা যায় এটি রুক্ষ ও তৈলাক্ত ত্বকের মিশ্রণ। তৈলাক্ত T-zone আর উন্মুক্ত পোরস এবং রুক্ষ চিবুক মূলত কম্বিনেশন ত্বককে বুঝায়। সেবামের অতিরিক্ত উৎপাদন তৈলাক্ত ত্বক তৈরী করে। এবং দরকার লিপিড ও সেবামের ঘাটতি ড্রাই স্কিন তৈরী করে।

 

সকল ধরনের ত্বকের যত্নে স্কিন কেয়ার রুটিন-

 

আপনাকে খুবই সতর্কতার সাথে ত্বকের যত্নের ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে। কারন এটি আপনার ত্বকের সজীবতা নির্ধারণ করে বিশেষ করে মুখের ত্বক। কেমিক্যাল যুক্ত  প্রসাধনী ব্যবহার করার পরিহার করুন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিন।

 

সাধারন ত্বকের  স্কিন কেয়ার রুটিনঃ

সাধারণ ত্বকের মানুষের একটি হালকা ক্লিমজার দিয়ে শুরু করতে পারেন। যেমন ধরেন নারিকেলের দুধ। কোকোনাট মিল্ক ত্বকের ময়লা ধুর করে। পোরস গুলো কমিয়ে আনে৷ কখনও আবার পরিষ্কার পানিই যথেষ্ট। আপনার যদি নরমাল ত্বক হয়ে থাকে তাহলে দিনে দুইবার মুখ ধুতে হবে। আপনি চাইলো নারিকেলের পানিকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। নরমাল ত্বক অলরেডি সঠিক ভারসাম্য যুক্ত।  তারপরও আপনি চাইলে হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।  নারিকেলের পানির ব্যবহার ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পারে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন। নরমাল স্কিন যাদে আছে তাদের সপ্তাহে একদিন ত্বক স্ক্রাব করা উচিত।

 

তৈলাক্ত ত্বকের স্কিন কেয়ার রুটিনঃ

ত্বক তৈলাক্ত দেখায় কারন সেবাম এর উৎপাদন বেশি হয়। একটি প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিন এবং স্ক্রাব দিয়ে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করুন। এটি ত্বকে তেলের নির্গমন ও মাত্রা কমিয়ে আনবে। সমান পরিমানে অলিভ অয়েল ( অথবা বাদমের তেল) ও সামুদ্রিক লবন মিশিয়ে নিন পরিস্কারক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। আপনি চাইলে ক্লিনজার হিসেবে নারিকেল দুধ ব্যবহার করতে পারেন। আপনি তেল পরিষ্কারক ও ব্যবহার করতে পারেন। দুই তৃতীয়াংশ ক্যাস্টর অয়েল, এক অলিভ অয়েল নিয়ে এই ক্লিনজার তৈরী করতে পারবেন। অন্যন্য ক্নিনজারও ব্যাবহার করতে পারেন যদি আরো পরিস্কার করার দরকার পরে।

তৈলাক্ত ত্বকের ময়েশ্চারাইজার দরকার পরে না।  তারপরও নারিকেল তেল ব্যহার করা যায় কিংবা অ্যাপেল সিডাী ভিনেগার ব্যবহার করা যায়।

 

রুক্ষ ত্বকের স্কিন কেয়ার রুটিনঃ

রুক্ষ ত্বকের সজীবতা দ্রুত কমে যায় বলে এর খেয়াল রাখা মুসকিল। পরিষ্কারক হিসেবে অলিভ অয়েল,  অ্যাভোকাডো, দুধ, মধু ব্যবহার করা যায়। এই উপাদান গুলো আপনার রুক্ষ ত্বকের সতেজতা ফিরিয়ে আনবে।

 

রুক্ষ ত্বকে টোনার ব্যবহার করবেন না।  তাহলে ত্বক আরো রুক্ষ হবে। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায় কারন  থাকে লিপিড যা ত্বকের সজীবতা ধরে রাখে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক হাইড্রেটর ও ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। নারিকেলের দুধ ত্বকের জন্য আরেকটি উপযুক্ত হাইড্রেটর।

 

কম্বিনেশন ত্বকের স্কিন কেয়ার রুটিনঃ

কম্বিনেশন ত্বকের যত্ন নেয়ার উপায় হচ্ছে রুক্ষ ও তৈলাক্ত দুটি অংশের আলাদা যত্ন নেয়া।তৈলাক্ত  T-zone এর জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও রুক্ষ ত্বকের জন্য নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। আপনি যদি ক্লিনজার ব্যবহার করেন তাহলে শুধু তৈলাক্ত অংশের জন্য ব্যবহার করবেন।  কম্বিনেশন ত্বকের যত্ন নেয়া খুবই সহজ যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন ও পালন করেন।

 

শেষ কথা 

এখন আপনার কাছে একদম সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন আছে তাই আপনি একদম দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন।সব ধরনের ত্বকের যত্নের জন্য আলাদা আলাদা পদ্ধতি আছে। আর আপনি চাইলেই  প্রাকৃতিক উপায়েই নিজের ত্বককে করতে পারেন আরো উজ্জ্বল ও সজীব।

 

আরো জানুন-

 

প্রশ্নঃ আমার স্কিন কেয়ার রুটিন কি হবে?

উত্তরঃ আপনাকে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে। তাই প্রথমে ত্বকের ধরন জেনে নিন।

 

প্রশ্নঃ ত্বকের যত্নের একদম মৌলিক  পদ্ধতি কোনটি? 

উত্তরঃ এক্সফোলিয়েটর,  ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার হল মৌলিক ত্বকের যত্নের পদ্ধতি। 

 

প্রশ্নঃ স্কিন কেয়ার রুটিন কিভবে প্লান করব?

উত্তরঃ প্রথমে আপনার ত্বকের ধরন কি নির্নয় করুন।  চার ধরনের ত্বকের জন্য আলাদা যত্ন আছে। আপনার স্কিন টাইপ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে রুটিন প্লান করুন এবং দরকারী ক্নিনজার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। 

 

প্রশ্নঃ চারটি প্রধান ত্বকের ধরন কি?

উত্তরঃ নরমাল, রুক্ষ, তৈলাক্ত এবং কম্বিনেশন হচ্ছে প্রধান চার ধরনের স্কিন টাইপ।

 

 

তথ্যসূত্র:

https://www.universalclass.com/articles/self-help/natural-skin-care-understanding-skin-types.htm

https://www.sustainablejungle.com/sustainable-living/natural-skin-care-ingredients/

https://wellnessmama.com/8283/natural-skin-care-routine/#:~:text=In%20general%2C%20a%20half%20and,from%20oil%20cleansing%20are%20enough.

https://www.eucerin.co.uk/about-skin/basic-skin-knowledge/skin-types

https://www.wellandgood.com/coconut-milk-benefits-skin/

POST A COMMENT