চুলের যত্নে নারিকেল তেল ও মধু দিয়ে তৈরী হেয়ার মাস্ক
-
- একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও ১ টেবিল চামচ মধু ভালোভাবে মেশান যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা ক্রিমের মতো ঘন হচ্ছে।
- চুলায় সসপ্যান দিয়ে মিশ্রণটি ঢালুন এবং ভালো করে গরম করুন।
- ঠান্ডা হয়ে গেলে ভেজা চুলে লাগিয়ে নিন।
- পুরো মাথায় ও চুলে আস্তে আস্তে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
- যে কোনো হালকা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাপন থেকে কিছুটা সময় নিজের যত্নের জন্য বের করে নেওয়া দরকার। দৈনন্দিন জীবনের ঝুট-ঝামেলা থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকে সরিয়ে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিজের যত্ন নেয়া। এতে করে আপনি যে শুধু চিন্তামুক্ত হবেন তা নয়, আপনার চেহারাতেও পড়বে লাবন্যের ছাপ। ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই খুব সহজে নিজের চুলের যত্নে বানিয়ে নিতে পারেন দারুণ কিছু রেসিপি। মধু এবং নারিকেল তেল দুটোই চুলের জন্য দারুণ উপকারি। মধু এবং নারিকেল তেল দিয়ে তৈরী দারুণ একটি হেয়ার মাস্ক এর রেসিপি আজ আমরা নিয়ে এসেছি যা ব্যবহারে আপনার চুল হয়ে উঠবে মসৃণ, ঝলমলে ও উজ্জ্বল।
চুলের যত্নে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। নারিকেল তেল শুধুমাত্র চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে না, বরং মাথার ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এর সাথে যদি মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরী করে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা চুলের পুষ্টি আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।নারিকেল তেলে রয়েছে লরিক এসিড নামের একটি উপাদান। লরিক এসিড চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি চুলের গভীরে পৌঁছে চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। গরমে মাথার ত্বক ঘেমে চুলের গোড়ায় লবণাক্ততার কারণে চুল পড়া বেড়ে যায়। নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের গোড়ায় ক্লোরিনের পরিমাণ কমে যায় ও চুল পড়া বন্ধ হয়।মধুর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে ত্বক ও চুল পরিচর্যার কাজে মধুর বিবিধ ব্যবহার রয়েছে। চুলের প্রোটিনের পরিমাণ কমে রুক্ষ ভাব দেখা দিলে সাধারণত মধু ব্যবহার করা হয়। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সুগার কন্টেন্ট। তাই রুক্ষ চুলে মধু ও নারিকেল তেল ব্যবহার করলে চুলের কোমলতা ফিরে আসে।উপাদানসমূহ:- ১টেবিল চামচ নারিকেল তেল
- ১ টেবিল চামচ মধু
- ১টি ছোট সসপ্যান
- ১টি বাটি
- চামচ
- তোয়ালে
- শাওয়ার ক্যাপ
দিকনির্দেশনা:১। নারিকেল তেল ও মধু একসাথে একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না ক্রিমের মতো ঘনত্ব আসছে। মিশ্রণটি একটি সসপ্যানে নিয়ে হালকা গরম করুন। এটি ঠান্ডা করে চুলে লাগাতে শুরু করুন, গরম অবস্থায় ব্যবহার করবেন না।২। চুল পানিতে ভিজিয়ে নিন। ভেজা অবস্থায় লাগালে সবচেয়ে কার্যকর ফল পাওয়া যায়। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে মাসাজ করুন। যেসব জায়গা ফেটে গেছে সেসব জায়গায় ভালোভাবে লাগান।৩। মিশ্রণটি লাগানোর আগে গলা থেকে ভালো করে তোয়ালে পেচিয়ে রাখুন যাতে মিশ্রণ কোনো ভাবে কাপড়ে লেগে নষ্ট না হয়।৪। মাস্কটি লাগানো হয়ে গেলে চুল উঁচু করে খোঁপা বেঁধে একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন। আনুমানিক ৩০-৪০ মিনিট এটি মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে।৫। হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।উপকারিতা:১। নারিকেল তেল ও মধুর হেয়ার মাস্ক চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এই মাস্ক ব্যবহারে চুল ও মাথার ত্বকের আর্দ্র ভাব সহজে নষ্ট হয় না। তাছাড়া এই মাস্ক ব্যবহার করার পর আলাদাভাবে চুলের কন্ডিশনিং করার প্রয়োজন হয়না। চুলের শুষ্কতাও সহজেই দূর হয়।২। মধুতে গ্লুকোজ অক্সিডাইস নামের এনজাইম রয়েছে। এই এনজাইম চুলে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড সরবরাহ করে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।৩। নারিকেল তেল ও মধু্র এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য চুল ভাঙা প্রতিরোধ হয়।৪। নারিকেল তেল ও মধুতে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। তাই এই মাস্ক ব্যবহারে চুলে এবং মাথার ত্বকে কোনো ধরণের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দেখা দেয়না।গরমে চুল পড়ে যাওয়া রোধে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে আমরা সবাই চাই প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন নিতে। নারিকেল তেল ও মধু দিয়ে তৈরী হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে এই গরমে চুলের উজ্জ্বলতা হারানোর ভয় একদমই থাকে না।Sources:
https://www.purefiji.com/blog/coconut-oil-face-masks/” rel=”nofollow”>https://theeverygirl.com/coconut-oil-honey-hair-mask/
https://www.purefiji.com/blog/coconut-oil-face-masks/” rel=”nofollow”>https://thestripe.com/diy-coconut-oil-honey-hair-mask/
POST A COMMENT
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।