স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য আয়ুর্বেদিক সমাধান
- আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন চুল পড়া, খুশকি ও অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করে
- যেকোন আয়ুর্বেদিক রুটিন শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার চুলের ধরণ সম্পর্কে জেনে নিন
- সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুলে তেল দিন
- চুলে হিট-স্টাইলিং ও রাসায়নিক উপাদানযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা কমিয়ে আনুন
আমাদের নানা জনের চুলের রয়েছে নানা ধরণ এবং নিঃসন্দেহে, আমরা আমাদের চুলের ধরণ এবং টেক্সচার অনুযায়ী আমাদের চুলের জন্য সেরাটাই চাই। কেন চাইবো না? একজন ব্যক্তির সামগ্রিক উপস্থিতির একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে তার চুল। এজন্য আমরা প্রায়ই চুলের যত্নের কার্যকর টিপস বা একটি উপযুক্ত চুলের যত্নের রুটিন খুঁজে থাকি। সাধারণত আমরা অনেকেই বাজারে পাওয়া প্রচলিত পণ্য খুঁজে নেই এবং চুলের যত্নের রুটিন সেট করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চুলের ধরণের বৈচিত্রের কারণে পণ্যগুলো আমাদের চুলের সাথে খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না। তাছাড়া কিছু কিছু পণ্যতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা চুল এবং বিভিন্ন জরুরী অভ্যন্তরীণ তন্ত্র – উভয়ের ওপরেই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এসব পরিস্থিতিতে, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন, যা চুলের যত্নের প্রাকৃতিক পদ্ধতি হিসেবে বেশ জনপ্রিয় – ফলপ্রসূ ফলাফল আনতে পারে। এই আর্টিকেলে, আমরা চুলের জন্য আয়ুর্বেদ সম্পর্কে আলোচনা করব এবং আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের রুটিন সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রায় ৫০০০ বছরের পুরনো হওয়া সত্ত্বেও, চুলের যত্নে আয়ুর্বেদ একটি সামগ্রিক পদ্ধতি, যা প্রচলিত পদ্ধতিসমূহ থেকে অনেকাংশেই আলাদা, কারণ এই পদ্ধতিতে ১০০% প্রাকৃতিক উপাদান ও চিকিৎসা কৌশল ব্যবহৃত হয়। চুলের জন্য আয়ুর্বেদ- এর আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এটি যেকোন সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে। আয়ুর্বেদের মতে, চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে আমরা খাদ্যাভ্যাস এবং হজম শক্তির ওপর – ঠিক আমাদের দেহের অন্যান্য টিস্যু ও তন্ত্রসমূহের মতো। এছাড়াও আমাদের অন্যান্য ব্যক্তিগত এবং বংশগত দুর্বলতা, দৈনন্দিন কাজের চাপ এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার কারণেও আমাদের চুল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এই আর্টিকেলটির প্রধান লক্ষ্য হলো চুলের জন্য আয়ুর্বেদ সম্পর্কে আপনাকে আরও জানানোর পাশাপাশি আপনাকে স্বাস্থ্যকর চুল পাওয়ার কিছু ব্যবহারিক পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করা। তাহলে চলুন জেনে আরও নেওয়া যাক –
ধাপে ধাপে আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের রুটিন
জেনে নিন আপনার চুলের ধরণ সম্পর্কে
আয়ুর্বেদিক তত্ত অনুযায়ী, ভাটা, পিটা ও কাফা – এই তিন ধরণের শক্তি বা ‘দশা’ আমাদের শারীরবৃত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করে থাকে। প্রতিটি মানুষের চুলের ধরণ ও স্বাস্থ্য এই তিনটি দশার সমন্বয়ে নির্ধারিত হয়, যার মধ্যে একটি বা দু’টি দশাপ্রাধান্য পায়। এই তিনটি শক্তি বা দশা ভারসাম্য হারালে আমাদের চুলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই চুলের যত্নের আয়ুর্বেদিক রুটিন শুরুর আগে আপনার জন্য আপনার চুলের ধরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী তেল ও শ্যাম্পু নির্বাচন করুন
তেল বা শ্যাম্পু সহ যেসব সামগ্রী আপনার চুলে ব্যবহার করে থাকেন, তা নির্বাচনের আগে সেগুলোতে আপনার ‘দশা’র জন্য কার্যকর আয়ুর্বেদিক ভেষজ উপাদান আছে কিনা তা জেনে নিন। চুলে ভুল সামগ্রীর ব্যবহার আপনার চুলকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে, সৃষ্টি করতে পারে ভারসাম্যহীনতার।
আসুন বিভিন্ন দশার জন্য কার্যকর কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
‘ভাটা’ – চুলের জন্য কার্যকর ঔষধিসমূহ –
পেঁয়াজ, রোজপী, সিডার, লিকারিস, কালো তিল, বারলেরিয়া প্রিয়োনাইটিস, অশ্বগন্ধা, শতভরি ইত্যাদি
‘পিটা’ – চুলের জন্য কার্যকর ঔষধিসমূহ –
লিকারিস, হিবিস্কাস, নেলাম্বো নুসিফেরা, নিম, পঙ্গামিয়া পিনাতা ইত্যাদি
‘কাফা’ – চুলের জন্য কার্যকর ঔষধিসমূহ –
রোজপী, গ্রেপসীড, মেথি, কর্পূর, জ্যোতিষমথি ইত্যাদি
‘ত্রিদশা’ (তিন ধরণের দশাকে প্রশমিত করতে কার্যকর ঔষধিসমূহ) –
অ্যালোভেরা, ব্রাহ্মী (বোকোপা মনিয়েরি), ভ্রিংরাজ (একলিপ্টা আলবা), আমলকি, তাগারা (ভ্যালেরিয়ার মূল) ইত্যাদি
চুলে নিয়মিত তেল দিন
চুলের যত্নে আয়ুর্বেদ সপ্তাহে দুই/তিনবার চুলে তেল দেওয়ার পরামর্শ দেয়। আপনার চুলের ধরণের উপর নির্ভর করে আপনার তেল দেওয়ার পরিমাণ নির্ধারন করা যেতে পারে। ‘কাফা’ চুলে কম কম তেল দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যেখানে ‘ভাটা’ চুলে ‘পিটা’ ও ‘কাফা’-র তুলনায় বেশী তেল দেওয়া প্রয়োজন। ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক প্রাকৃতিক চুলের যত্ন এর নিয়ম অনুসারে চুল ধোয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে আপনার চুলে তেল দেওয়া উচিৎ। আরও ভাল ফলাফলের জন্য রাতে ঘুমানোর আগে আপনার মাথার তালু এবং চুলে হালকা তেল মালিশ করে পরের দিন চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।
নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলুন
অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা জমে আপনার মাথার ত্বকের ফলিকলগুলো ধীরে ধীরে আটকে দিতে পারে, যা নিয়মিত চুল ধোয়ার সময় আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে হবে। আপনি চুল পরিষ্কারের প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানসমূহও ব্যবহার করতে পারেন, যেমন রিঠা (সোপনাট), শিকাকাই (সোপ পড), হিবিস্কাস ফুল, ত্রিফলা পাউডার ইত্যাদি।
আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের পরামর্শ অনুসারে সপ্তাহে ২/৩ বার আপনার চুল ধোয়া উচিৎ। পাশাপাশি চুল ধোয়ার সময় স্বাভাবিক বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করে আপনার মাথার ত্বক মাসাজ করতে পারেন।
নিয়মিত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে চুলকে কন্ডিশনিং করুন
আয়ুর্বেদের ভাষায় হেয়ার মাস্ককে বলা হয়ে থাকে ‘শিরো লেপা’। আপনার চুল ও মাথার ত্বকে ঠিকমত পুষ্টি যোগাতে হেয়ার মাস্কের ব্যবহার একটি অত্যন্ত কার্যকর ও উপকারী থেরাপি হিসেবে কাজ করে। আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের পরামর্শ অনুযায়ী, স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তার মতো চুলের জন্য ক্ষতিকর আভ্যন্তরীণ কারণগুলো মোকাবেলার পাশাপাশি চুল ও মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে, প্রতি সপ্তাহে কিংবা পনেরো দিনে অন্তত একবার চুল হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ।
চুলের জন্য পুষ্টিকর মাস্ক তৈরি করতে আপনি ডিমের সাদা অংশ বা অ্যালোভেরার মতো দ্রাবকের সাথে মেশাতে পারেন আমলকী, হেনা কিংবা মেথির মত আয়ুর্বেদিক উপাদান। মাস্ক তৈরির পর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন, ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং সব শেষে পানি দিয়ে ফেলুন। এটি বেশ কার্যকর একটি চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি।
সঠিকভাবে চুল আঁচড়ানো শিখে নিন
মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির একটি কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে সঠিকভাবে চুল আঁচড়ানো। এটি আপনার চুলের জট ছাড়িয়ে চুলের গোড়াগুলোতে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন, অনিয়ন্ত্রিত, জোরালোভাবে চুল আঁচড়ানো চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং চুল ভাঙ্গা বা স্প্লিট এন্ডের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আয়ুর্বেদিক প্রাকৃতিক চুলের যত্ন পরামর্শ অনুযায়ী, আপনার দিনে এক অথবা দুইবার শান্তভাবে একটা কাঠের, ভোঁতা-দাঁতযুক্ত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো উচিৎ। এছাড়া, আপনার চিরুনি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ময়লা জমা রোধ করতে নিয়মিত চিরুনিটি ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত চুল ছাঁটুন
যদি আপনার চুল পাতলা ও রুক্ষ হয়ে যায়, আপনি নিয়মিত চুল ছাঁটার মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করতে পারেন। প্রতি ৮-১২ সপ্তাহে অন্তত একবার চুলের ভেঙ্গে যাওয়া আগাগুলো ছেঁটে ফেলুন।
হিট স্টাইলিং ও রাসায়নিক পণ্য এড়িয়ে চলুন
ব্লো-ড্রায়ার, স্ট্রেইটেনিং বা কার্লিং আয়রন এর মতো হিট স্টাইলিং যন্ত্রসমূহ আপনার চুলের আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে, চুলের ‘ভাটা’ দশাকে বাড়িয়ে তূলে চুলে শুষ্কতা, চুলের ভাঙ্গন, স্প্লিট এন্ড এবং চুল পরার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই চুল ধোয়ার পর বাতাসে শুকিয়ে নেওয়াটাই শ্রেয়। অন্যদিকে, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান আছে এমন পণ্যের ব্যবহার আপনার চুলের পিএইচ লেভেল পরিবর্তন করে ফেলতে পারে এবং মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও প্রোটিনের স্তরকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই, প্রাকৃতিক ও ভেষজ গুনাগুন সমৃদ্ধ আয়ুর্বেদিক পণ্য ব্যবহার করা আপনাকে দেয় স্বাস্থ্যকর চুল,কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই।
সঠিক খাবার খান ও নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন
আপনার দশাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখার পেছনে সবচেয়ে জরুরী ব্যাপার হচ্ছে একটি নিয়ন্ত্রিত ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস। পাশাপাশি, আয়ুর্বেদ মতে, চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য আপনার শরীরের টক্সিনগুলো নিয়মিত নিঃসরণ করে ফেলা প্রয়োজন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে ঘাম ঝরিয়ে ফেলা আপনার শরীরকে ডিটক্স করার একটা কার্যকর উপায়। এছাড়া মাথার ত্বক থেকে ঘাম ঝরার ফলে ত্বকের ফলিকলগুলোতে জমাট বাধা ময়লাও অপসারিত হয়।
আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের রুটিনের উপকারিতা
নানাভাবেই একটি নিয়মিত আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের রুটিন আপনার চুলের জন্য হতে পারে অত্যন্ত উপকারী। প্রথমত, এটি আপনার চুলে পুষ্টি যুগিয়ে অসময়ে চুল পড়া রোধ করে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধির আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি বহু বছর ধরে ঘন চুল পেতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া এটি আপনার মাথার ত্বককে পরিষ্কার করার পাশাপাশি খুশকির সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে। আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের রুটিন আপনার চুলের মেলানিনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অসময়ে পাকা চুলে দেখা দেওয়ার সমস্যা দূর করে। এছাড়া আপনি নিয়মিত চুলে আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে জটবাঁধা চুলকে ঠিক রাখতে পারবেন। আয়ুর্বেদিক চুলের যত্ন চুলের ভেঙ্গে যাওয়া দূর করে ও চুলের টেক্সচারকে আরও উন্নত করে।
আয়ুর্বেদিক চুলের যত্ন একটি ঐতিহ্যবাহী, সামগ্রিক পদ্ধতি যার রয়েছে অসংখ্য গুণাবলী। এবং দিন শেষে আপনার সাথে খাপ খায়, আপনি উপকার পান, যে ধরনের ফলাফল আপনাকে সন্তুষ্ট করে – এসব মাথায় রেখে আয়ুর্বেদিক চর্চার সেরা ফলাফল পেতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত চুলের যত্নের রুটিনের সাথে আয়ুর্বেদের গুনাগুণ যুক্ত হয়ে আপনাকে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে অবশ্যিসহায়তা করবে।
সাধারণ জিজ্ঞাসা
আয়ুর্বেদের মাধ্যমে আমি কীভাবে পুনরায় আমার চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে পারি?
আয়ুর্বেদিক চুলের যত্ন আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল পড়া ও খুশকি রোধ করে। চুলের বৃদ্ধির জন্য আপনি সহজেই আয়ুর্বেদিক চুলের যত্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক চুলের যত্ন বলতে কী বোঝায়?
আয়ুর্বেদিক চুলের যত্ন হচ্ছে একটি রুটিন যাতে ১০০ ভাগ প্রাকৃতিক উপাদান ও চিকিৎসা কৌশল ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা একটি ঐতিহ্যবাহী ও সামগ্রিক পদ্ধতি। এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি শুরুতেই যেকোন সমস্যার মূল কারণকে সনাক্ত করে।
আমার চুলের যত্নের রুটিন কেমন হওয়া উচিৎ?
আপনার চুলের যত্নের রুটিন সবসময়য় আপনার চুলের ধরণ ও আপনার পছন্দের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা উচিত। আয়ুর্বেদিক রুটিন আপনার চুলের জন্য কার্যকর হতে পারে কারণ এটি শুরুতেই যেকোন সমস্যার মূল কারণকে সনাক্ত করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে।
আয়ুর্বেদ কি পুনরায় চুল গজাতে পারে?
হ্যাঁ, আয়ুর্বেদিক রুটিনের মাধ্যমে পুনরায় চুল গজানো সম্ভব। ভৃঙ্গরাজ চুলে বৃদ্ধিতে জাদুকরী ভুমিকা পালন করে থাকে এবং চুল পড়া কমিয়ে আনে।
চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে কোন তেল উপকারী?
ভৃঙ্গরাজ তেল চুলের বৃদ্ধিতে উপকারী ভুমিকা রাখে।
আমি কীভাবে আমার চুলকে আরও ঘন করে তুলতে পারি?
নিয়মিত আপনার চুলে তেল দেওয়া, সঠিক খাবার খাওয়া, সঠিক ভাবে চুল আঁচড়ানো, নিয়মিত ছাঁটাই করা, মৃদু তবে চুলকে ঘন করে এমন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করে আপনি চুলকে ঘন করে তুলতে পারেন।
সুত্র –
https://makeupandbeauty.com/7-best-hair-oils-for-faster-hair-growth/
[sc name=”the-ultimate-ayurvedic-hair-care-regimen-for-healthy-hair-bn”]
POST A COMMENT
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।