a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmarks
  • No bookmark found
Image Alt
 • মুখের যত্ন  • এই গরমে ঝলমলে চুল ও মসৃণ ত্বকের জন্য নারিকেলের ৫টি রেসিপি
Beauty Hacks In Summer

এই গরমে ঝলমলে চুল ও মসৃণ ত্বকের জন্য নারিকেলের ৫টি রেসিপি

Bookmark CFL(0)
    • নারিকেল তেল ও বেকিং পাউডারের মিশ্রণ ব্রণের সমস্যার সমাধান করতে পারে
    • ডাবের পানির মিস্ট ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে
    • মধু ও নারিকেল তেলের লিপ মাস্ক ঠোঁট ফাটা রোধ করে।
    • পুদিনা পাতা ও নারিকেলের হেয়ার মাস্ক চুলের খুশকি দূর করে
    • হাত ও পায়ের ত্বকের জন্য নারিকেল তেল ও লেবুর বডি স্ক্রাব কার্যকরী

    গ্রীষ্ম এমন একটা সময় যখন ত্বক ও চুলের সঠিক পরিচর্যা দরকার। অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
    মোনা লক্ষ্য করল তার মুখে এবং কপালে বেশকিছু ব্রণ দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই গরমে ব্রণ কীভাবে দূর করা যায়? মোনার হাতের কাছে ছিলো নারিকেল তেলের বোতল। ঝটপট মোনা বানিয়ে ফেললো নারিকেল তেল দিয়ে একটি ফেইস মাস্ক যা কি না সহজেই মুখের ব্রণ তো দূর করেই, সেই সাথে মুখের ত্বকে এনে দেয় বাড়তি উজ্জ্বলতা।
    ব্রণ সমস্যার জন্য নারিকেল তেল ও বেকিং সোডার মিশ্রণ: 
    ত্বকে ব্রণ সাধারণত দেখা দেয় ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে। ব্রণ থেকে ছোটো ছোটো দাগ হতে পারে । চলুন দেখে নেয়া যাক মোনা কীভাবে ব্রণের জন্য মাস্ক প্রস্তুত করেছিল।
    উপাদানসমূহ:
    • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
    • ১ চা চামচ বেকিং সোডা
    নির্দেশনা:
    • উপাদান দুটি ভালোভাবে মেশাতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত একটা ভালো পেস্ট তৈরি  হয়।
    • আক্রান্ত স্থানে ৫-১০ মিনিট নারিকেল তেল ও বেকিং সোডা এর পেস্ট ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে।
    • মাসাজ হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
    • ব্রণের দাগ সম্পূর্ণ চলে না যাওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দুই দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
    নারিকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লরিক এসিড যা মুখের ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। । বেকিং সোডার এক্সফলিয়েটিং বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বকের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দ্রুত মিলিয়ে যায়। নারিকেল তেল এবং বেকিং সোডা দুটোই এন্টিব্যাকটেরিয়াল, তাই সহজেই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ব্রণ দূর করে এবং ত্বকে আগের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
    রিফ্রেশিং কোকোনাট ওয়াটার ফেইস মিস্ট: 
    ডাবের পানির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। ব্রণের সমস্যা মিটলেও মোনার সামনে এখন সজীব ও উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পাওয়ার চ্যালেঞ্জ। এরপর সে প্রতিদিন কোকোনাট ওয়াটার ফেইস মিস্ট ব্যবহার করা শুরু করে । ডাবের পানি ত্বক থেকে দাগ দূর করে ও আগের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। এই সাধারণ মিস্ট মোনা বাসাতেই তৈরি করেছে।
    উপাদানসমূহ:
    • ১ কাপ ডাবের পানি
    • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
    • ১ কাপ গোলাপজল
    • ১টি স্প্রে বোতল
    নির্দেশিকা:
    • সবগুলি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ঢেলে নিন।
    • প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখে ফেইস মিস্ট স্প্রে করুন।
    • দিনের যে কোনো সময় ত্বক একটু সজীব করার জন্য এটা করা যায়।
    নারিকেলের পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। নারিকেলের পানিতে রয়েছে সাইটোকিনিন নামক পদার্থ যা ত্বকের ফাইন লাইন দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য।  গোলাপজল ত্বকের প্রদাহ দূর করার পাশাপাশি পোরস দূর করতেও সাহায্য করে। এই ফেইস মিস্টটি দিনে দু’বার ব্যবহার করলে ত্বক থাকে একদম সতেজ, ঠান্ডা এবং কোমল। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি ত্বকে এনে দেয় বাড়তি উজ্জ্বলতা।
    ফাটা ঠোঁটের জন্য মধু-চিনির মিশ্রণ:  
    ঠোটঁ কি শুধু শীতকালেই ফাটে? একদম না, মোনার গরমকালেও এই সমস্যা হয়। অতিরিক্ত গরমে ত্বকের সাথে সাথে ঠোঁটও আর্দ্রতা হারায়। এ ছাড়া ঠোঁটে কালচে ভাব দেখা দিতে পারে। তাই মোনা ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে নারিকেল তেল দিয়ে তৈরী একটি লিপ মাস্ক ব্যবহার করতে শুরু করে।
    উপাদানসমূহ:
    • ১ চা চামচ নারিকেল তেল
    • ১ টেবিল চামচ চিনি
    • ১ টেবিল চামচ মধু
    নির্দেশিকা:
    • সবগুলি উপাদান একটি বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
    • আঙুলের সাহায্যে তিন-চার মিনিট ভালোভাবে ঘষে ঘষে ঠোঁটে মাসাজ করুন।
    • টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে ফেলুন।
    • ঠোঁটে অল্প পরিমাণ নারিকেল তেল লাগিয়ে নিন।
    এই লিপ মাস্কটি ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে ফেলতে ও ঠোঁটের শুষ্কভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। মধু হিউমেকট্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া ধংস করতে ও ঠোঁটের মসৃণভাব ফিরিয়ে আনতে দারুণ উপকারী। চিনি প্রাকৃতিকভাবে এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে তাই ঠোঁটের মৃত চামড়া দ্রুত মিলিয়ে যায় এবং ঠোঁট হয়ে ওঠে নরম ও কোমল। এই মাস্কটি নিয়মিত সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ঠোঁটের শুষ্কতা ও কালচে ভাব দূর হয়।
    মাথায় খুশকি সমস্যা্র জন্য নারিকেল তেল-পুদিনা: 
    ত্বকের পাশাপাশি মাথার ত্বকে খুশকি ও চুলের শুষ্কভাব গরমে খুব সাধারণ একটি সমস্যা। মোনার চুল বেশ লম্বা। কিন্তু এই গরমে চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে মোনাের চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়াতে চুল বারবার গোড়া থেকে ভেঙে পড়ছে। এছাড়া খুশকির কারণে চুলের গোড়া নরম হয়েও চুল পড়ে যাচ্ছে।  তাই এই সমস্যার সমাধান হিসেবে মোনা নারিকেল তেল দিয়ে একটি হেয়ার মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করতে শুরু করলো যা সহজেই খুশকি দূর করে এবং চুল পড়া রোধে সহায়তা করে।
    উপাদানসমূহ:
    • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
    • ১০০ গ্রাম পুদিনা পাতা
    নির্দেশিকা:
    • পুদিনা পাতা অন্তত ১০-১৫ মিনিট ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে যেন কোনো ময়লা লেগে না থাকে।
    • ব্লেন্ডারে পুদিনা পাতা ও নারিকেল তেল ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরী করতে হবে।
    • মাথার ত্বকে ও চুলে খুব ভালোভাবে আঙুলের সাহায্যে মাসাজ করতে হবে।
    • ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে ও হালকা একটা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
    নারিকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লরিক এসিড যা চুলকে অতিরিক্ত পানি শোষণ থেকে বিরত রাখে। তাই নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক গুণাগুণ বজায় থাকে। এছাড়া নারিকেল তেল চুলের প্রোটিনের পরিমাণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই মাস্ক চুলে নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি দূর হয় এবং চুলের নমনীয়তা বজায় থাকে।
    এই হেয়ার মাস্কটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করে মোনা ফিরে পেয়েছিল খুশকিমুক্ত উজ্জ্বল, নরম ও কোমল চুল।
    উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়ার জন্য বডি স্ক্রাব: 
    মুখের ত্বক, ঠোঁট এবং চুলের সঠিক পরিচর্যা করার পর মোনা খেয়াল করলো মুখের ত্বকের চেয়ে হাত ও পায়ের ত্বক অন্যরকম মনে হচ্ছে। কারণ মুখের ত্বক এবং চুল প্রতিদিনের পরিচর্যা পেলেও হাত-পায়ের ত্বক পরিচর্যা পাচ্ছে না। ফলে হাত-পায়ের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই মোনা নারিকেল তেল এবং হাতের কাছে থাকা লেবু ও চিনি দিয়ে বানিয়ে ফেললো সহজ একটি বডি স্ক্রাব যা ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ।
    উপাদানসমূহ:
    • ৪ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
    • ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
    • ২ টেবিল চামচ চিনি
    নির্দেশিকা:
    • সবগুলো উপাদান ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিন।
    • হাতে, পায়ে এবং শরীরের অনাবৃত অংশে স্ক্রাব দিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করুন।
    • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে লোশন লাগিয়ে নিন।
    নারিকেল তেল প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজিং এর কাজ করে। এছাড়া নারিকেল তেলে রয়েছে লরিক এসিড ও ক্যাপ্রিক এসিড নামের দুটি উপাদান যা সহজেই হাত এবং পায়ের ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল হওয়ার কারণে প্রতিদিন ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে যাবতীয় ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস নির্মূল হয়।  চিনি শরীরে এক্সফলিয়েটরের কাজ করে তাই সহজেই ত্বকের মরা চামড়া নির্মূল হয়। লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ত্বকে প্রদাহ দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। এই বডি স্ক্রাব ব্যবহারে ত্বকের মরা চামড়া উঠে গিয়ে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা দ্রুত ফিরে আসে।  আর লেবুর মন মাতানো গন্ধের জন্য এই বডি স্ক্রাবটা আরও বেশি আকর্ষণীয়।
    গ্রীষ্মকাল এমন একটা সময় যখন আপনার ত্বক ও চুলের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। ওপরের কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারলে গরমে আপনার চুল ও ত্বক নিয়ে চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে। এসব রূপচর্চার পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারলে আপনাকে যে আরও বেশি লাবণ্যময় লাগবে তাই শুধু নয়, পরের দিনের জন্য আরও বেশি সতেজ লাগবে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন? উপাদানগুলো সংগ্রহ করুন, প্রস্তুত করুন এবং সুন্দর একটি গ্রীষ্মের জন্য তৈরি হোন।
    Reference link:
POST A COMMENT