a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmarks
  • No bookmark found
Image Alt
 • মুখের যত্ন  • বিভিন্ন ধরনের ত্বকের যত্নে নারিকেল-এর তৈরি ৫টি ফেস মাস্ক
face pack for all skin type

বিভিন্ন ধরনের ত্বকের যত্নে নারিকেল-এর তৈরি ৫টি ফেস মাস্ক

Bookmark CFL(0)

সবচেয়ে ভালো মেক আপ কি হতে পারে? উত্তরটি হলো – স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক।  আমরা সবাই ই সুন্দর ত্বক পেতে চাই এবং  ত্বকটাকে  সুন্দর ও উজ্জ্বল করার বিভিন্ন উপায় খুজি। আর যখন ত্বকের সুরক্ষার কথা আসে তখন নারকেল তেলের চেয়ে উত্তম আর কিছু হতে পারে না।আমরা জানি, এটি একটি সাধারণ উপাদান কিন্তু এইসব সাধারণ উপাদানের কিছু চমৎকার যাদু রয়েছে। তো, কেন নারকেল তেল ত্বকের জন্য এত উপকারী?  নারকেল তেল একটি উত্তম মশ্চারাইজার এবং এটি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টিফাংগাল হওয়ায় বাসায় বানানো মাস্কের ক্ষেত্রে বহু উপযোগী।  আর যখন আপনি নারকেল তেলের সাথে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান মিশাবেন তখন উন্নত মানের একটি ফেস মাস্ক পাবেন। আজকে আমরা  এমন কিছু ফেস মাস্ক নিয়ে কথা বলব যা নারকেল তেল দিয়ে তৈরি এবং  যে কোনো স্কিন টাইপে  ব্যবহারযোগ্য।

১। নারিকেলের অ্যান্টি একনি ফেস মাস্ক

 

এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন সম্পন্ন হওয়ায়  নারকেল তেল ব্রনের চিকিৎসার জন্য ভালো। অন্যদিকে, ওটমিল ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়, এটি ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এই দুটো উপাদান দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী মাস্ক তৈরি করতে পারবেন।  এটি একনি বা ব্রণের জন্য একটি আদর্শ মাস্ক।

  • একটি পাত্রে ৩ টেবিল চামচ ওটমিল ও পরিমাণমত গরম পানি মিশিয়ে পেস্টের মত একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। 
  • এতে ১ টেবিল চামচ  নারকেল তেল মিক্স করুন।
  • মিশ্রণটি আস্তে আস্তে ত্বকে বৃত্তাকারে স্ক্রাব করুন এতে ত্বকের মৃত চামড়াগুলো উঠে যাবে।
  • ১৫ মিনিটের মত এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।

২। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে নারিকেল তেলের ফেস মাস্ক

এই ফেস মাস্কটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী কারণ এটি ত্বকের প্রতিটি স্তরকে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলোকে পরিষ্কার করে। এই ফেসিয়াল মাস্ক  ত্বককে মশ্চারাইজ ও মসৃণ করে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার সাথে সাথে  ত্বককে ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

  • একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ দই এবং হাফ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন।
  • এর সাথে হাফ টেবিল চামচ নারকেল তেল ভালোভাবে মেশান।
  • পরিষ্কার মুখে মোটা করে প্রলেপ লাগান এবং ১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন।
  • এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

৩। ত্বকের রঙ ব্যালান্স করতে নারিকেল তেলের মাস্ক

বহু আগে থেকেই ত্বককে নরম ও সুন্দর রঙ দেয়ার জন্য হলুদ ব্যবহৃত  হয়ে আসছে। যখন এই অসাধারণ মশলাটিকে নারকেলের মশ্চারাইজার গুণের সাথে মিশানো হবে এটি ত্বকের গভীরে যেতে সহায়তা করবে ও এটি বুঝাও সহজ হবে যে কেন  এই ফেস প্যাকটি অসমান স্কিন টোনের জন্য কতটা কার্য্যকরী।

 

  • একটি পাত্রে এক টেবিলচামচ  তেল নিয়ে তা মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিন। 
  • এর সাথে ১/৮ টেবিল চামচ হলুদ মেশাতে হবে। 
  • এই মিশ্রণটি মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
  • ঠান্ডা পানি অথবা কুসুম গরম পানি দিয়ে  মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিতে হবে।

 

৪। শুষ্ক ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজিং ফেস মাস্ক  

মধু এবং নারকেল তেল উভয়ই ত্বকের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত করে। এসব উপাদানে রয়েছে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য  যা ত্বককে     পরিষ্কার রাখে ও শুষ্কতা থেকে মুক্তি দেয়। সুতরাং, যদি আপনি শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসমাস্ক খুজে থাকেন, তাহলে এটিই  আপনার  জন্য উপযোগী। 

  • একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল ও এক টেবিল চামচ মধু মিশ্রিত করুন।  
  • পরিষ্কার মুখে এই মাস্ক এপ্লাই করে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। 
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
  • ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটি মুছে ফেলুন।    

এই মাস্কটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে এবং ত্বকে পুষ্টি জোগাবে পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতাও কমাবে। এটি ত্বককে ঝলমলে করার জন্য কার্যকরি একটি মাস্ক।

 

৫। ইয়াঙ্গার লুকিং স্কিনের জন্য নারিকেল তেল ও অ্যাভোকাডো ফেস মাস্ক

 

এই নারকেল তেল আর এভোকাডর ফেস মাস্কটি আপনার ত্বকের কু্ঁচকে যাওয়া প্রতিরোধ করবে এবং আপনার ত্বককে দেখাবে তরুন। নারকেল তেল আপনার ত্বককে মসৃণ করবে আর এভোকাডো ফ্রি রেডিকেলের বিপরীতে কাজ করে ত্বকের বয়স কমাতে সাহায্য করবে। এই অসাধারণ মাস্কটি আপনার ত্বককে যেমন আর্দ্রতা দিবে তেমনি আপনার ত্বককে দেখাবে তরুণ আর এই মাস্কটি তৈরি করা খুবই সহজ।

 

  • একটি পাত্রে ১/৪ টেবিল চামচ পাকা এভোকাডো নিন 
  • পাকা এভোকাডো নিয়ে সাথে ১ টেবিলচামচ নারকেল তেল নিন 
  • সবকিছুর সাথে আধা টেবিলচামচ জায়ফল গুড়ো নিয়ে ভালোমত মেশাতে হবে। 
  • এই মাস্কটি মুখে এপ্লাই করে ১৫-২০ মিনিটের মত রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

 

খুবই সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবেন।  উপরোক্ত যে কোনো  উপাদান নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে  ব্যবহার করে দেখুন, অবশ্যই আপনি পরিষ্কার, উজ্জ্বল একটি ত্বক পাবেন, ঠিক যেমনটি আপনি চান।

 

সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর :

 

আমার ত্বকের জন্য কোন ফেস মাস্ক উত্তম হবে?

–  এটি নির্ভর করবে আপনার স্কিন টাইপ এবং কি ধরনের সমস্যা আপনার স্কিনে তার উপর।  এখানে আপনি  আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী ফেস মাস্ক খুজে পাবেন যেমন – তৈলাক্ত ত্বক বা শুষ্ক ত্বক।

 

নারকেল তেল কি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী?

– নারকেল তেল হলো একটি চর্বি  জাতীয় তেল যা শুষ্ক নারকেল থেকে বানানো হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক  উপাদান হওয়ায় যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী।

 

উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য নারকেল তেলের সাথে কি মিশানো যেতে পারে?

– উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য নারকেল তেলের সাথে মধু মেশানো যেতে পারে।

 

সব ধরনের স্কিনের জন্য কোন ফেস মাস্ক উপযোগী?

–  আপনি যদি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী মাস্ক খুঁজে থাকেন তবে  আগে আপনার  স্কিন টাইপ খুজে বের করতে হবে। এরপর আপনি  আপনার জন্য উপযোগী মাস্ক নির্বাচন  করতে পারবেন।

 

Reference:

https://www.purefiji.com/blog/coconut-oil-face-masks/

https://www.siobeauty.com/blogs/news/coconut-oil-face-mask

https://humblebrands.com/blog/homemade-coconut-honey-face-mask-for-sensitive-skin

https://www.stylecraze.com/articles/best-coconut-oil-face-masks-for-glowing-skin/

POST A COMMENT