জেনে নিই জেনিফার লরেন্স-এর বিউটি সিক্রেট
- হলিউডের নামী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের এমন কিছু বিউটি টিপস রয়েছে যা তার সৌন্দর্যের রহস্যের চাবিকাঠি।
- লরেন্সের সেলিব্রিটি বিউটি টিপসের মধ্যে রয়েছে নাইট ক্রিম ব্যবহার করা, রাতে নিয়মিত ত্বক এক্সফলিয়েট করা, একটিমাত্র ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে না থাকা।
- খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা জেনিফার লরেন্সের আরেকটি সৌন্দর্য রহস্য।
২০১০ সালে অস্কারজয়ী সিনেমা উইন্টারস বোন-এ অংশ নেওয়ার পর থেকে জেনিফার লরেন্স স্টার হিসেবে ভালোই নাম করেছেন। এখন হলিউডে তিনি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী। ক্যামেরার সামনে নিজেকে সুন্দর আর সতেজ দেখাতে কে না চায়? জেনিফার যখন রেড কার্পেটে হেঁটে যান, তখন তার সেই ঝলমলে রূপ দেখে কে না মোহিত হন? তবে একদম অবাক করা ব্যাপার হল লরেন্সের জীবনযাত্রা কিন্তু একদম সাধারণ। আর তার সৌন্দর্য চর্চার রুটিনও একদম মিনিমাল। চলুন জেনে নিই লরেন্সের রূপের গোপন রহস্য কী।
৯০ দশকের শিশু হওয়ার কারণে লরেন্স ৯০ দশকের স্টাইলই বেশি পছন্দ করেন। লরেন্সকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল কখন সে নিজেকে সবচেয়ে বেশি সুন্দর হিসেবে দেখেন, তিনি উত্তরে বললেন, “সত্যি কথা বলতে, যখন নিজেকে একটা নিয়মের মধ্যে রাখতে পারি তখন খুব ভালো লাগে। আমি জিমে যেতে খুব পছন্দ করি, কিন্তু বাস্তবে আমাকে বেশি খরচ করতে হয় ওয়ার্কআউট বাতিল করার জন্য। তবে যখন আমি ট্রেডমিলে পা রাখি তখন আসলেই নিজেকে দারুণ শক্তিশালী মনে হয়।”
মিনিমাল এবং সাধারণ মেক-আপ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনো অনুষ্ঠান না থাকলে আমি মেক-আপ করিনা খুব একটা। পেশাদার কারণে যেহেতু প্রায়ই আমাকে মেক-আপ করতে হয় তাই অন্য সময় আমি এসব থেকে দুরেই থাকি। কাজেই পোরস কাকে বলে আমি কিন্তু জানিনা।” লরেন্সের ত্বকের গ্লো এর কারণেই লরেন্সকে মেক-আপ ছাড়াও কিন্তু দারুণ সুন্দর দেখায়। এছাড়া তার দাদীর কাছ থেকেও রূপচর্চা বিষয়ক কিছু টিপস তিনি পেয়েছেন, “দাদী বলেছিলেন আমার আইব্রো এর দিকে আমাকে একটু বেশি নজর দিতে হবে, এখন তাই-ই করছি।”
স্কিন কেয়ার রুটিন সম্পর্কে তার নিজস্ব অভিমত রয়েছে, “যেহেতু আমার ত্বক খুব শুষ্ক তাই আমি সব সময় নাইট ক্রিম ব্যবহার করি। পাশাপাশি একটু ভারি ধরনের মাস্কও ব্যবহার করি। ব্র্যান্ডের নাম আমার মনে নেই, তবে এটার গন্ধ ভালো ছিলো না।” সেলিব্রিটি স্কিন কেয়ার রুটিন হিসেবে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা এটি মেনে চলতে পারেন।
লরেন্সের স্কিন কেয়ার রুটিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এক্সফলিয়েশন, “আমি প্রতি রাতেই এক্সফলিয়েট করি, হাতের কাছে যা পাই তাই দিয়েই। দানাদার যে কোনো কিছুই ব্যবহার করতে পারেন এক্সফলিয়েশনের জন্য।” ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এক্সফ্লিয়েশন দারুণ কাজ করে।
লরেন্স একটি মাত্র ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে না থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ব্যবহার করে থাকেন। তার মতে, “ত্বকের জন্য প্রোডাক্ট বারবার চেঞ্জ করে দেখা উচিত। যদিও আমার আন্ডার আই ক্রিম হিসেবে আমি প্রতি রাতে রেটিনলই ব্যবহার করি।”
লরেন্স সানস্ক্রিনের উপর দারুণ নির্ভরশীল। তার ব্যবহাঋত সানস্ক্রিনের মান নিয়ে তিনি বলেছেন, “দিনের বেলায় আমি সানব্লক ব্যবহার করি। যেই ব্র্যান্ডই ব্যবহার করি না কেন আমি জিংক সমৃদ্ধ পণ্যই ব্যবহার করতে পছন্দ করি।”
এবার আসি জেনিফার লরেন্সের চুপ পরিচর্যার রুটিন নিয়ে। জেনিফারের চুল কালো এবং কোঁকড়া, এভাবেই তিনি হেয়ার স্টাইলও রাখেন। একবার মজা করে তিনি বলেন, “আমার চুলগুলো এত খারাপ আর কোঁকড়া। আমি কোঁকোড়া চুল একদমই পছন্দ করিনা, তাই ব্লো আউট করে সোজা করে রাখি।” তবে তিনি তার হেয়ার কাট একটু এলোমেলো, অসমান রাখতেই পছন্দ করেন।
কীভাবে তিনি তা সাধারণ দিন যাপন করেন, এটা কিন্তু অনেকেরই আকর্ষণের বিষয়। তার মুখেই শুনে নিই, “কফি দিয়ে শুরু, এরপর ব্রাশ করেই সানব্লক মেখে নিই। তারপর একটু কনসিলার দিয়ে টাচ আপ করে আমা রকুকুর পিপিকে নিয়ে পার্কে যাই। ফিরে এসে গোসল করে এরপর সত্যিই তেমন কোনো কাজ থাকে না।” এভাবেই খুব সাদামাটা দিন যাপন করেন তিনি। এমনকি তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে তিনি খেতে খুব ভালোবাসেন, “আর একটু স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া উচিত ছিলো আমার, আমি ভিটামিন তো খাই-ই না আবার খাবার খাই যেন আমি ১১ বছরের একটা অনাথ শিশু। তবে আমি নিয়মিত ব্যায়াম করি, পাইলেটস দেই আর দৌঁড়াই।”
জেনিফার লরেন্সের সৌন্দর্যের রহস্য সম্পর্কে নিশ্চয়ই কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। তিনি খেতে পছন্দ করলেও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন। মূলত এটিই তার জীবনের মূলমন্ত্র, নিজের মত থাকা, অন্যের মত না হতে চাওয়া আর প্রচুর কঠোর পরিশ্রম করা।
সাধারণ প্রশ্ন:
১। প্রতিদিনের জন্য ভালো একটি স্কিন কেয়ার রুটিন কী হতে পারে?
স্কিন কেয়ার রুটিন একেক জনের একেক রকম। তবে একদম মূল যে স্কিন কেয়ার রুইন যা সবারই মেনে চলা উচিত, তা হল: ক্লিনজিং, টোনিং, সিরাম এবং বুস্টার ব্যবহার, ময়েশ্চারাইজিং এবং এক্সফলিয়েটিং।
২। কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ভালো স্কিন কেয়ার রুটিন কী?
কম্বিনেশন স্কিনের জন্য স্কিন কেয়ারের সাধারণ কয়েকটি ধাপ রয়েছে: আলতোভাবে মুখ ধুয়ে এসেন্স বা আই ক্রিম লাগানো, তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। আর এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা।
৩। জেনিফার লরেন্স কোন কোন খাবার খান?
লরেন্সের ডায়েটের উপর তার সৌন্দর্যের রহস্য অনেকটাই নির্ভর করে। তিনি মাঝে মাঝে জাংক ফুড খেতেও কিন্তু পছন্দ করেন। তবে তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করে ফ্যাট কমিয়ে ফেলেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আর একটু স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া উচিত ছিলো আমার, আমি ভিটামিন তো খাই-ই না আবার খাবার খাই যেন আমি ১১ বছরের একটা অনাথ শিশু।”
৪। ভালো হেয়ার কেয়ার রুটিন কেমন?
একটি ভালো হেয়ার কেয়ার রুটিনে যেসব ধাপ রয়েছে তা হল: ভালো তেল দিয়ে চুল মাসাজ করা, নিয়মিত চুল ছেটে ফেলা, ঠান্ডা অথবা কুসুম গরম অয়ানি দিয়ে চুল ধোয়া, খুব বেশি সময় চুল বেধে না রাখে, যেসব পণ্যে অনেক বেশি তাপমাত্রা আছে সেসব ব্যবহার না করা।
৫। আপনার চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখবেন কীভাবে?
চুলের প্রোটিনের পরিমাণ বজায় রাখুন, ভালো শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, চুল নিয়মিত ধুয়ে ফেললে ও আঁচড়ালে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৬। আমার চুলে প্রতিদিন পুষ্টি যোগাবো কীভাবে?
প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করলে আপনার চুলে পুষ্টি বজায় থাকবে।
References
https://www.allurebee.com/hollywood-trend/jennifer-lawrence-beauty-tips/
https://www.harpersbazaar.com/beauty/makeup/a22778066/jennifer-lawrence-beauty-routine/
https://www.whowhatwear.com/jennifer-lawrence-skincare/slide21
https://www.instyle.com/beauty/fragrance/jennifer-lawrence-dior-joy
[sc name=”jennifer-lawrence-beauty-secret-revealed-bn”]
POST A COMMENT
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।