a
Sorry, no posts matched your criteria.
My Bookmarks
  • No bookmark found
Image Alt
 • চুলের যত্ন  • চুল পড়া রোধের উপায়
reduce hair fall

চুল পড়া রোধের উপায়

Bookmark CFL(0)
  • এলোপিসিয়া এরিএটা এর মত মেডিক্যাল কন্ডিশনের পাশাপাশি মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, অমানানসই হেয়ার প্রোডাক্টস চুল পড়ার পেছনে দায়ী।
  • সুষম খাদ্যাভ্যাস, তেল দেয়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার চুল পড়া অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
  • লেজার থেরাপি, পি আর পি থেরাপিগুলো চুল পড়া সমস্যায় ডাক্তারি সমাধান।

হাজারো মানুষের প্রাচীন এক সমস্যা- চুল পড়া। এই চুল পড়া সমস্যার সবথেকে সেরা সমাধানের খোঁজ চলছে এখনো। যদিওবা আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম চুল পড়ার সমাধান চেষ্টা করে থাকি, কিন্তু আদর্শ সমাধান হতে হবে চুল পড়ার কারণ অনুযায়ী।দেখে নেয়া যাক চুল পড়ার পিছনের কারণগুলো।

চুল পড়ার শীর্ষ কারণগুলো

১. স্বাস্থ্যগত সমস্যা

যদি স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে চুল পড়তে থাকে, তবে বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নেয়া উচিত চুল পড়া কমাতে। এলোপিসিয়া এরিএটা(alopecia areata) বা টিলুজেন ইফ্লুভিয়াম(telogen effluvium) এর মত সমস্যায় মাথার চারপাশ থেকেই চুল পড়তে থাকে।

ট্রিকুটিলুম্যানিয়া(trichotillomania) এক ধরনের অসুস্থতা যেখানে চুল টানতে থাকে রোগী, যেটি চুল পড়া সমস্যা ত্বরান্বিত করে।

২. হরমোনের অসামঞ্জস্যতা

শরীরে হরমোনের অসামঞ্জস্যতার পিছনে রয়েছে অনেক কারণ, যেটির জন্য চুল পড়া শুরু হয়। নারীদের হরমোনের অসামঞ্জস্যতার পিছনে ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন অন্যতম কারণ ।

সন্তান জন্মের পর নারীর শরীর অনেক হরমোনাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যেটির কারণেও চুল পড়তে পারে। এছাড়াও, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, গর্ভাবস্থা, মেনোপজ এবং থাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্যতাও চুল পড়া শুরু হবার পিছনের কারণ হতে পারে। 

৩. খাদ্যাভ্যাস

যদি আপনার নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন যেমন ভিটামিন ডি, কপার এবং জিংক না থাকে, তবে চুল পড়া বাড়তে পারে। অপর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ গ্রহণ ও চুল পড়ার পিছনে আরেকটি কারণ।

৪. মানসিক চাপ

প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। 

৫. হেয়ারস্টাইলিং

আপনি চুলকে কিভাবে সাজাচ্ছেন বা স্টাইল করছেন, সেটির উপরেও চুল পড়া বাড়া-কমা নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি নিয়মিত শক্ত করে চুল বাঁধেন, তবে চুল পড়া বাড়তে পারে।

৬. হেয়ার প্রোডাক্টস

রাসায়নিক পণ্যযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট এর অতিরিক্ত ব্যবহার চুল পড়ার পিছে অন্যতম কারণ। বিষাক্ত রাসায়নিক চুলের ফলিকল দুর্বল করে দেয় এবং দুর্বল চুল মানেই চুল ঝরে পড়া।

৭. জেনেটিক্স

এন্ড্রোজেনেটিক এলোপিসিয়া, যেটি চুল পড়ার পিছে অন্যতম কারণ, সেটি বংশক্রমে পাওয়া একটি রোগ। এটি মা অথবা বাবা যে কারো থেকেই সন্তান পেতে পারে। যদি বাবা-মা উভয়েরই চুল পড়া সমস্যা থাকে, তবে সন্তানের ও চুল পড়া সমস্যার সম্মুক্ষীন হবার সম্ভাবনা খুবই প্রবল।

চুল পড়া কমানোর উপায়

চুল পড়া রোধের রয়েছে অনেক রকম উপায়। যেটির মাঝে ক্লিনিকাল এবং ঘরোয়া, দুই ধরনের উপায়ই রয়েছে। দেখে নেয়া যাক কিভাবে চুল পড়া রোধ করা যায়।

 ১. সুষম খাদ্যাভ্যাস

ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর খাদ্যাভ্যাস পারে আপনার চুল পড়া কমাতে। খাবারে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, আয়রন এবং জিংক সমৃদ্ধ খাবার। বিভিন্ন ধরনের মাছ, বাদাম, টার্কি এবং কম ক্যালরি সম্পন্ন দুগ্ধজাত পণ্য।

ভিটামিন এ আপনার স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখে। আপনার খাবারে পালং শাক, গাজর, ব্রোকলি এবং ডিম রাখার চেষ্টা করুন। 

ভিটামিন ডি স্বল্পতার কারনে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পাশাপাশি সূর্যালোকে কিছু সময় কাটানোর চেষ্টা করুন, যেটি প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার কোলেস্টেরল থেকে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করে। 

২. নারিকেল তেল 

চুল পড়া সমস্যার সমাধানের ঘরোয়া উপায়ের মাঝে নারিকেল তেলের জায়গা অন্য উচ্চতায়। কেনই বা হবে না? এটি সহজলভ্য এবং চুল পড়া রোধে অত্যন্ত কার্যকর। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে আরো শক্তিশালী করে। 

নারিকেল তেল অল্প গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করলে চুলের বৃদ্ধি হয়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং স্ক্যাল্প সুস্থ রাখে। 

৩. ব্যায়াম 

নিয়মিত ব্যায়ামে আপনি মানসিক চাপ কমাতে পারেন, এনডরফিন হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে। মানসিক চাপ চুল পড়ার পিছে অন্যতম কারণ। যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন এর মত ব্যায়ামগুলো চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বেশ প্রভাব রাখে। এটি  শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। 

৪. অলিভ অয়েল

তেল সুন্দর চুলের জন্য সুপরিচিত এক উপাদান আর অলিভ অয়েল তার মাঝে অন্যতম। এটি আপনার চুলকে শুষ্ক দেখানো থেকে রক্ষা করে এবং চুল ভেঙে পড়া রোধ করে। বংশগত কারণে  চুল পড়া কমানোর ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর।

দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর মৃদু প্রকৃতির শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

৫ . শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার

চুল পড়া রোধে আপনার স্ক্যাল্পের জন্য সেরা  এবং মানানসই শ্যাম্পু নিবার্চন করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ন এক ধাপ। শ্যাম্পু নির্বাচনের ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন সিলিকোন, প্যারাবেন এবং সালফেট মুক্ত শ্যাম্পুর জন্য কারণ এই উপাদানগুলো চুলের জন্য ক্ষতিকর। 

শ্যাম্পু আপনার চুলকে পরিষ্কার রাখে এবং স্ক্যাল্প সুস্থ রাখে। 

এর সাথে একটি ভাল কন্ডিশনার ক্ষয়  হওয়া চুলকে পুনুরুদ্ধার করে এবং চুলকে মসৃণ করে। 

৬. হেয়ারস্টাইলিং এ সতর্কতা 

চুলে পনিটেইল অথবা শক্ত করে বেণী করা যততুক সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন, কেননা এগুলোর জন্য চুল পড়তে পারে। এছাড়াও, কার্লার বা স্ট্রেইটনিং আয়রন নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয়। 

একটি ডিমের সাদা অংশ নিন এবং এক টেবিল চামচ মধু এবং অলিভ অয়েলের সাথে মেশান যতক্ষন না পর্যন্ত এটি পেস্ট এর মত না হয়। এরপর পেস্টটি আপনার স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় লাগান। ২০-২৫ মিনিট রাখুন। এরপর মৃদু প্রকৃতির কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

এই হেয়ার মাস্কটি  চুল এর বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধে কার্যকর এক উপায় ।

৮. ডাক্তারি সমাধান

চুল পড়া রোধে নানারকম ওষুধ এবং চিকিৎসা রয়েছে । লেজার থেরাপি চুলের ঘনত্ব পুনরায় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি এমন আরেকটি থেরাপি।

এছাড়াও ফিনাস্টারাইড, মিনোক্সিডিল, ফেনাইলফ্রাইন এর মত ওষুধ চুল পড়া সমস্যা রোধের জন্য আছে কিন্তু এগুলো ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নেয়া উচিত। 

কিছু কথা 

চুল পড়া সমস্যাটি সবসময়ই উদ্বেগজনক আবং বিরক্তিকর এক সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনার চুলের জন্য সবথেকে মানানসই সমাধানটি অনুসরণ করুন এবং হয়ে উঠুন আরো আত্নবিশ্বাসী!

সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রশ্নঃ কিভাবে আমার চুল পড়া কমাতে করতে পারি?

উত্তরঃ সঠিক খাদ্যাভ্যাস,আপনার  চুলের জন্য আদর্শ রুটিন এবং ব্যায়াম আপনার চুল পড়া সমস্যায় সহায়তা করতে পারে। 

প্রশ্নঃ কিভাবে আমি প্রাকৃতিক ভাবে চুল পড়া কমাতে এবং চুল গজাতে পারি?

উত্তরঃ প্রথমত,চুল পড়্রার কারণ খুঁজে বের করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। চুল পড়া রোধে এবং পুনরায় গজাতে আমাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

প্রশ্নঃ চুল পড়া কমাতে কোন খাবার খেতে হবে?

উত্তরঃ চেষ্টা করুন প্রোটিন , ভিটামিন এ , ভিটামিন ডি, আয়রন এবং জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে। সেই সাথে ডিম, মাছ, পালং শাক , মুরগি , বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাবার এর মাঝে রাখবেন। 

প্রশ্নঃ কোন তেলটি চুলের জন্য সবথেকে ভালো?

উত্তরঃ নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল সবথেকে সহজলভ্য তেলের মাঝে অন্যতম এবং চুল পড়া সমস্যায় সেরা সমাধান দেয়। 

প্রশ্নঃ কিভাবে আমার চুল ঘন করতে পারি?

উত্তরঃ ডিম মাস্ক এবং অলিভ অয়েলের ব্যবহার চুল ঘন করতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল প্রাকৃতিক ভাবে চুল ঘন করতে সাহায্য করে কারণ এতে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে।

প্রশ্নঃ নারিকেল তেল কি চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে?

উত্তরঃ নারিকেল তেলে থাকা লরিক এসিড চুল ভাঙা এবং ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। এছাড়া চুলের গোড়া রক্ষা করার মাধ্যমে সুন্দর চুল বানাতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্রঃ

 

https://www.healthline.com/nutrition/vitamin-d-from-sun#time-of-day

https://www.healthline.com/health/hair-loss-prevention#5

https://www.femina.in/wellness/home-remedies/how-to-stop-hair-fall-and-tips-to-control-with-natural-home-remedies-60280.html

https://www.kamaayurveda.com/blog/how-to-stop-hairfall/

https://stylesatlife.com/articles/exercises-hair-growth/

https://www.medicalnewstoday.com/articles/319862#takeaway

 

[sc name=”ways-to-reduce-hair-fall-bn”]

POST A COMMENT